যৌন ব্যবসা চালাতে গিয়ে শনিবার রাতে গ্রেফতার হয় ভারতরে দুই অভিনেত্রী বলিউডের রিচা সাক্সেনা এবং বাংলা সিরিয়ালের শুভ্রা চট্টোপাধ্যায়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঐদিন হায়দ্রাবাদের তাজ ডেকান হোটেল থেকে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবরটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তবে ধৃতদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায় নি।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই হায়দ্রাবাদে দেহব্যবসা চালাচ্ছিল ওই চক্র। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই ওই হোটেলে আসতেন। হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে দেহব্যবসার চক্রের পান্ডার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। হোটেলে আগত অতিথিদের ঘরেই চলে আসত পতিতাদের ছবি-সহ অ্যালবাম। দরদাম চলত। তারপর ক্লায়েন্টের ঘরে চলে আসত সুন্দরী মডেল-অভিনেত্রীরা। চলত উদ্দাম যৌনতা, পার্টি, ছুটত মদের ফোয়ারা।
জানা যায়, অভিনেত্রী রিচা সাক্সেনার সঙ্গে রাত্রিযাপনের জন্য প্রতি রাতে এক লক্ষ টাকা করে চার্জ নেওয়া হত।
টাস্ক ফোর্সের ইনস্পেক্টর নাগেশ্বর রাও জানিয়েছেন, স্থানীয় পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ফাইভ স্টার হোটেলের উপর নজর রাখছিলেন। হোটেলে যারা ঢুকছেন, তাদের গতিবিধির উপরেও নজর ছিল পুলিশের। আচমকাই হোটেলে হানা দেয় টাস্ক ফোর্স। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় অভিনেত্রীদের। গ্রেপ্তার করা হয় তেলেগু-বলিউডের রিচা সাক্সেনা এবং বাংলা-হিন্দী সিরিয়ালের শুভ্রা চট্টোপাধ্যায় ও এক ডিজাইনারকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হোটেলের ম্যানেজার প্রাথমিকভাবে দেহব্যবসার অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তার কাছ থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তবে এই দেহব্যবসার চক্রের মূল পান্ডা জনার্দন এখনও পলাতক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। তাকে হায়দরাবাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না বলে সবকটি এক্সিট পয়েন্টে পুলিশি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ধৃতদের বাঞ্জারা হিলসে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। তবে এরকম ঘৃণ্য ঘটনার সঙ্গে এ রাজ্যের নাম জড়ানোয় বাংলার মুখ পুড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
